দেশের বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তি শায়খ আহমাদুল্লাহ করােনামুক্ত হয়েছেন। হাসপাতালে টানা ৬ দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে। বাসায় ফিরেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ্যাডমিনের দেয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই স্ট্যাটাসে লেখা রয়েছে, “আলহামদুলিল্লাহ। সুষ্য
আলহামদুলিল্লাহ! মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ ও আপনাদের নেক দোয়ায় হাসপাতালে টানা ছয়দিন বিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকার পর শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)-কে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তিনি এখন ডাক্তারদের পরামর্শে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। বাসায় অবস্থানকালে তাকে পুরােপুরি বিশ্রামে।
আরও পড়ুনঃ পবিত্র কোরআন এবং ইসলাম নিয়ে আমি আর বক্তব্য দিবো না: ডা. জাফরুল্লাহ
যাকতে বলা হয়েছে। এ সময় কথাবার্তা বলা এবং অন্যান্য কাজকর্ম করার ব্যাপারে তার জন্য বিধি-নিষেধ রয়েছে। মাসখানেক পর্যন্ত কোনাে মানসিক এবং শারীরিক চাপ নিভে তাকে বারণ করা হয়েছে। তার ফুসফুসে নতুন করে সংক্রমণজনিত সমস্যা দেখা দেয়নি, ভবে আগের সংক্রমণজনিত সমস্যার কিছুটা অবশিষ্ট রয়েছে। তার পরিবারের ন্য সদস্যদের মবস্থাও স্থিতিশীল। রয়েছে। সবার কাছে শায়খের জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ যেন শায়খকে পুরােপুরি সুস্থতা দিয়ে স্বমহিমায় আমাদের সামনে ফিরে
আসার তাওফিক দান করেন। এরআগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত এগারােটাই তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে একটি স্ট্যাটাসে শায়খ আহমাদুল্লাহর করােনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেন। ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ লক্ষীপুরে জন্মশায়খ আহমাদুল্লাহর। কওমি মাদরাসা শিক্ষা বাের্ড (বেফাক) থেকে কৃতিঘের সঙ্গে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে খুলনা দারুল উলুম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। লেখাপড়া শেষ করে মিরপুরের দারুর রাশাদে শিক্ষকতায় যােগ দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত | ছিলেন। এক বছর মিরপুরের আরজাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি ২০০৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ইমাম ও
খতিবের দায়িদ পালন করেন মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে। ২০০৯ সালে সুযােগ আসে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার। আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতার কারণে ডাক পান মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ। সেন্টারে যােগ দেন। একজন দায়ি ও অনুবাদক হিসেবে সেখানে দীর্ঘ ৯ বছর কাজ করেন। আরবদের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আস্থা ও ভালােবাসা অর্জন করেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইতােমধ্যেই তিনি জাপান, ভারত, আরব আমিরাত ও সৌদি
ন অংশগ্রহণ করেছেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন “আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ-তিন বিভাগে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইসলাম নিয়ে আলােচনার পাশাপাশি লেখালেখিও করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই পর্যন্ত দাওয়াহ ও গবেষণা বিষয়ে শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন।
আপনার মতামত জানান